Ration Card – এই নিয়মটি না মানলে বাতিল হতে পারে রেশন কার্ড। সতর্কতা রেশন অফিসের! জানুন কি সেই নিয়ম।

পরের মাস থেকে বন্ধ হয়ে যেতে পারে আপনার রেশন। (Ration Card)

পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের রেশন কার্ড (Ration Card) নিয়ে সতর্ক করলো খাদ্যদপ্তর। প্রচলিত ৫ ধরণের রেশন কার্ডের মধ্যে আপনার কোনটি? আপনি কি যোগ্য সেই প্রকার রেশন কার্ড পাবার জন্য? প্রত্যেক রেশন কার্ডেরই আলাদা আলাদা নিয়ম আছে। সেই নিয়ম না মানলে আপনাকে বেশ ভালো মাশুল দিতে হতে পারে। তাই জেনে নিন সঠিক নিয়মগুলি বিস্তারিত ভাবে।

প্রতি মাসে নিয়ম করে ডিজিটাল পদ্ধতি তথা আঙুলের ছাপ ব্যবহার করেই রীতিমতো চলছে রেশন (Ration Card Status Check) সামগ্রী বিতরণ প্রক্রিয়া। অতিমারীর সময়েও এমনভাবে সাধারণ মানুষের কাছে কখনো বিনামূল্যে কখনো স্বল্পমূল্যে রেশন সামগ্রী বিতরণ চলেছে বাঁধাহীনভাবে। এখন রেশন কার্ড থাকলেই কিন্তু রেশন (Ration Card) পাওয়া যাবে না। মানতে হবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম।

সরকারি বা বেসরকারি, যেকোন কাজেই বেশ কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে নিয়ম কানুন মানার। সেই রকম রেশন কার্ডের (Ration Card) ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কারণ, খাদ্য দপ্তর এখন রেশন কার্ডের নিয়ম কানুন মেনে চলার ব্যাপারে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

ভারত সরকার এই রেশন ব্যবস্থা চালু করেছে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের খাদ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য। তাই সমাজের আর্থ-সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের আর্থিক অবস্থার অপর ভিত্তি করে তাদের জন্য বিভিন্ন রকমের রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করেছে। সুতরাং সবাইকেই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

রাজ্যে বর্তমানে ৫ ধরণের রেশন কার্ড চালু রয়েছে। যেগুলি হল- AAY,  PHH, SPHH, RKSY-I এবং RKSY-II. প্রত্যেকটি রেশন কার্ডেরই (Ration Card) ভিন্ন ভিন্ন রকমভেদ আছে। কিন্তু বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী অনেকেই নিজের নাম সঠিকভাবে নাথিভুক্ত করেন নি। অর্থাৎ, যাদের SPHH এর ভিত্তিতে রেশন পাবার কথা তারা পাচ্ছেন AAY কার্ডের ভিত্তিতে রেশন। আবার উল্টোটাও দেখা গেছে।

একটি উদাহরণ দিলে বিষয়গুলি বোঝা যাবে। ধরা যাক, একজন ব্যক্তি PHH রেশন কার্ড ধারক হিসেবে রেশন (Ration Card) পাচ্ছেন। কিন্তু তার যদি বাড়িতে দুই বা চার চাকার গাড়ি, ট্রলার, মোটর বোট, ট্রাক্টর, ট্রলার থাকে বা যদি সরকারি চাকরি করেন তাহলে তিনি এই কার্ডের যোগ্য নন।

এছাড়াও যদি তার পরিবারের কেউ 10-15 হাজার টাকা মাসিক আয়, ইনকাম ট্যাক্স পেয়ার বা পাকা ছাদ যুক্ত বাড়ি থাকে তাহলে তিনি এই কার্ড পাবার যোগ্য নন। যদি বাড়িতে 2KW এর বেশি লোদের মিটার থাকে এবং মাসিক 300 ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন- সেক্ষেত্রেও তিনি এর বহির্ভুত হবেন। কিন্তু এই সব থাকা সত্ত্বেও তারা PHH কার্ডের মাধ্যমে রেশন (Ration Card Status Check) পেয়ে যাচ্ছেন।

অন্য দিকে ভারতের মোট জনগণের 5% মানুষ দুবেলা ভরপেট খেতে পান না। তাদের জন্য 2000 সালে চালু করা আয় AAY কার্ড। যারা BPL এর মূল্যে দেওয়া খাবার কিনতে অসমর্থ। এর সংখ্যা সারা দেশে 5 কোটির বেশি। কিন্তু তথ্য অনুযায়ী দেখা গেছে, অনেকেই সামর্থ থাকা সত্ত্বেও AAY কার্ডের সুবিধা নিয়ে যাচ্ছে। বাইক বা চার চাকার গাড়ি চালিয়ে রীতিমত নিতে আসছে AAY কার্ডের রেশন।

এইরকম প্রত্যেক রেশন কার্ডের ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ নিয়ম কানুন থাকে। যেগুলি প্রত্যেকেরই বেশ ভালো ভাবে জানার দরকার। কারণ হয়তো (Ration Card) নিজে জানেন না অথচ না জেনেই ভুল করছেন। যদি শো-কজ করে তাহলে আপনাকে যোগ্য জবাব দিতে হবে। ফেরত পর্যন্ত দিতে হতে পারে কেন্দ্র বা রাজ্যের দেওয়া সকল ভর্তুকি যার পরিমান অনেকটাই। তাই আগে থেকেই সাবধান হন।

এই ভুল ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত হতে পারে। যদি কোনো ব্যক্তি ভুল উপায়ে রেশন কার্ড পেয়ে থাকেন এবং তিনি ওই কার্ডের মাধ্যমে সরকারের রেশন প্রকল্পের (Ration Card Status Check) সুবিধা নিয়ে থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যক্তি অভিযোগ জানাতে পারেন। তদন্তে সত্যই কিছু উঠে আসলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এছাড়া এখন সমস্ত কিছুই ডিজিটালভাবে একটির সাথে অপরটি লিংকড।

সুতরাং সরকারের কাছেও সব রকম (Ration Card) তথ্যই আছে। কারণ, এখন প্রত্যেকটি জনগনের সব রকম ডকুমেন্টই কোন না কোন ভাবে একটির সাথে অপরটি লিঙ্ক করা আছে। সচেতন হলে আর বিপদে পড়ার সম্ভাবনা নেই। এরকম সব খবর সবার আগে পেতে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আপনার মন্তব্য কমেন্ট বক্সে লিখতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.

Leave a Comment