School Education Department – হাইকোর্টের নতুন নির্দেশ। নিয়ম অমান্য করা অনেক শিক্ষককে দেওয়া হচ্ছে নোটিশ। হতে পারে জেল!

শিক্ষার অধিকার আইনে (School Education Department) এই বিষয়ে নিয়ে যা বলা আছে তা জেনে রাখা ভালো।

শিক্ষার অধিকার আইন- 2009 অনুযায়ী বলা হয়েছে যে, (School Education Department) ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে সম্পূর্নভাবে বিনামূল্যে শিক্ষা পাবে। এর পাশাপাশি কোনো শিক্ষক-শিক্ষিকা কোনো রকমের প্রাইভেট টিউশনের সাথে নিজেকে যুক্ত রেখে বাড়তি রোজগার করতে পারবেন না।

সূত্রের খবর অনুযায়ী এমনটাই জানা গেছে যে, স্কুল শিক্ষকদের অনেকেই স্কুলে দায়িত্বের সাথে ভালো করে না পড়িয়ে গৃহশিক্ষকতায় ব্যস্ত থাকেন। এমনকী স্কুল ফাঁকি দিয়ে গৃহশিক্ষকতা করার নজিরও রয়েছে প্রচুর।

ফলে ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে সাধারণ পরিবারের ছাত্রছাত্রীদেরকে। কারণ তাদের অনেকের পক্ষেই অনেকের পক্ষেই মোটা টাকা দিয়ে স্কুল (School Education Department) শিক্ষকদের বাড়িতে পড়তে যাওয়া সম্ভব হয় না।

স্কুল শিক্ষকদের নিয়মানুযায়ী প্রাইভেট টিউশন করে বাড়তি আয় করা বারণ। কিন্তু কেউই সেই নিয়ম না শুনে খোলাখুলি ভাবে হোক বা লুকিয়ে- অবলীলায় রীতিমতো অর্থের বিনিময়ে করছেন গৃহ-শিক্ষকতা। তবে এবার গৃহশিক্ষকতা (School Education Department) রোধে কড়া হচ্ছে রাজ্য সরকার।

এই নিয়ে এবার গোটা রাজ্যের মোট 45 টি স্কুলে নোটিস পাঠাল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। বেলঘরিয়া, দমদম, বরানগর, কলকাতা সহ (School Education Department) রাজ্যের একাধিক জায়গায় থাকা স্কুলে এই নোটিস পাঠানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ জন শিক্ষক শিক্ষিকার নামে নোটিস পাঠানো হয়েছে যাঁরা প্রাইভেট টিউশনি করছেন বলে অভিযোগ।

কেন তারা নিয়মকে অবজ্ঞা করে গৃহশিক্ষকতা (School Education Department) করছেন তা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে কৈফিয়ৎ চেয়েছে স্কুল শিক্ষাদপ্তর। তবে এখানে বিষয় হল এই প্রাইভেট টিউশন এর বিষয়ে তিনি অর্থাৎ প্রধান শিক্ষক কি করতে পারবেন?

কারণ বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট সময়কালের বাইরে কোন শিক্ষক কোথায় কি করছেন, তা কারো জানা সম্ভব নয়। এদিকে সূত্রের খবর, এর আগেও (School Education Department) স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা রোধে নানা উদ্যোগ নিয়েছিল স্কুল শিক্ষা দফতর।

কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। প্রকৃত (School Education Department) গৃহশিক্ষকরাও সংগঠনগতভাবে স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন দেখা যায় নি।

এবার শাস্তিমূলক পদক্ষেপও নেওয়া হবে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে তারপরেও কি আদৌ সতর্ক হবেন স্কুল (School Education Department) শিক্ষকরা? কিন্তু বিদ্যালয়ে সঠিকভাবে উপস্থিত থেকে যদি কেউ বিনা পরিশ্রমীকে কাউকে শিক্ষাদান করেন, সেক্ষেত্রে তার কি হবে? এমন প্রশ্নই উঠে আসছে অনেকের থেকে।

আপনি একজন সরকারি স্কুল শিক্ষক হয়ে প্রাইভেট টিউশনের মাধ্যমে অর্থ রোজগার করলে জেনে রাখুন যে আপনি কতগুলি আইনি (School Education Department) ধারায় অভিযুক্ত হতে পারেন? 10 রকম ধারায় মামলা হতে পারে RTE Act. 2009 অবমাননা করলে। কি সেই ধারাগুলি? জানুন বিস্তারিত।

১)RIGHT TO EDUCATION  ACT.এই আইনে  কোনো সরকারি স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকার প্রাইভেট টিউশন কঠরভাবে নিষিদ্ধ ।
২)PREVENTION OF CORRUPTION ACT.1988. Lieu money taken in disguise of Private tuition.
৩) INCOME TAX ACT  যেহেতু প্রাইভেট টিউশনটাই এদের অবৈধ। অবৈধ টাকার উপর কোন INCOME TAX দেওয়া যায়না তাই এটি INCOME TAX ACT  ফাঁকি দেওয়ার আওতায় পড়বে।
৪)GST যেহেতু বছরে ২০লক্ষ টাকার বেশী উপার্জন হলে তিনি GST এর আওতায় পড়েন কিন্তু প্রাইভেট টিউশনরত স্কুলটিচাররা প্রাইভেট টিউশনের income লুকিয়ে GST ফাঁকি দেন।

৫)PROFESSIONAL TAX  কারণ এরা private tuition -এর মাধ‍্যমে প্রচুর উপার্জন করলেও  পেশা হিসাবে প্রাইভেট টিউশনকে  সরকারের কাছে  স্বিকার করতে পারেন না। তাই Professional Tax ও ফাঁকি দিচ্ছেন।
৬)   MUNICIPAL TAX স্কুলটিচারদের প্রাইভেট টিউশন আইনের চোখে অবৈধ তাই প্রাইভেট টিউশনের জন্য এদের কোনো  Trade license দেওয়া হয়না।
৭)OFFICE OF PROFIT এই আইন অনুযায়ী (School Education Department) একজন কোন অফিস অধীনে লাভজনক কাজে যুক্ত থেকে অপর কোন লাভজনক সুবিধা গ্রহন করতে পারেন না।

৮)  এঁদের চাকুরীর সর্তানুযায়ী Service Rule এ লিখতে হয় অন‍্যকোনো লাভজনক পেশার সঙ্গে কোনরকম  যুক্ত নেই তাই private tuition-এর মাধ‍্যমে অর্থ উপার্জন চাকুরীর সর্তকে ভঙ্গ করে(service rule break.
৯)  শিক্ষা দফতরের অধীনে কাজ করে, অর্থ নিয়ে,তারই নির্দেশিকা( KOLKATA GAZETTE) অমান্য করা বিভাগীয় অপরাধ।

১০) আদালত অবমাননাঃ- যেহেতু কোলকাতা হাইকোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী শিক্ষাদপ্তরের কোলকাতা গেজেট তৈরি। তাকে অমান্য করা কোর্ট অবমাননার সমতুল‍্য। সুপ্রিম কোর্ট ও মাদ্রাজ ও ত্রিপুরা হাইকোর্টের রায়েও সরকারি স্কুলটিচারদের প্রাইভেট টিউশন নিষেধ করা আছে। এই সকল বিষয়ে নির্ভুল আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন। আর প্রতিবেদন ভালো লাগলে আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
Written by Debolina Barai.

1 thought on “School Education Department – হাইকোর্টের নতুন নির্দেশ। নিয়ম অমান্য করা অনেক শিক্ষককে দেওয়া হচ্ছে নোটিশ। হতে পারে জেল!”

Leave a Comment