স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (swasthya sathi) থাকলেও দিতে হবে খরচের সব টাকা!
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি জনপ্রিয় প্রকল্প হল স্বাস্থ্যসাথী (swasthya sathi)। এই প্রকল্পে সকল পশ্চিমবঙ্গবাসীকে ফ্রিতে চিকিৎসার কথা বলা হলেও, এবার থেকে আর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে ফ্রিতে সব চিকিৎসা মিলবে না নার্সিং হোমে বা কোন বেসরকারি হাসপাতালে। স্বাস্থ্যদপ্তরের নোটিশ এর মধ্যে পৌঁছে গেছে সকল বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের কাছে। সুতরাং দেখে নিন, যে আপনি কোন কোন ক্ষেত্রে এই স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পাবেন না।
রাজ্যের জনগণের কথা মাথায় রেখে এই রাজ্যের জনদরদি মুখ্যমন্ত্রী তথা মা, মাটি, মানুষের সরকার এনেছে স্বাস্থ্য পরিষেবায় আমূল পরিবর্তন। রাজ্যের ধনী দরিদ্র বাছ বিচার না করেই তিনি সকলের হাতে তুলে দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যসাথী (swasthya sathi) কার্ড। রাজ্যে যাতে কেউ বিনা চিকিৎসায় কষ্ট না পান তার জন্য সচেষ্ট রাজ্য সরকার।
রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দেখা যায় এই প্রকল্পের সাফল্য ও সুযোগ সুবিধার বড়ো বড়ো হোর্ডিং। হাঁটু প্রতিস্থাপন থেকে শুরু করে নানা রকমের ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল অপারেশন হচ্ছে বিনা পয়সায়। রাজ্যের মানুষ এই সুবিধা পেয়ে বেজায় খুশি। তবে এবারে নিয়মে আসছে পরিবর্তন।
এই সম্পর্কে বিস্তারিত নোটিশ জারি হয়েছে গত শুক্রবার। সেখানে বলা হয়েছে, এবার থেকে আর পেটের অন্য কোন ধরণের চিকিৎসা করার নাম করে অ্যাপেন্ডিক্স এর অপারেশন করলে সেক্ষেত্রে কোন বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিং হোমকে স্বাস্থ্যসাথী (swasthya sathi) স্কিমে টাকা দেওয়া হবে না। এছাড়াও হার্নিয়া, হাইড্রোসিল, দাঁতের যেকোনো রকমের অপারেশন এর ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে না স্বাস্থ্যসাথী স্কিমের টাকা।
তবে হাইড্রোসিল সার্জারি, অবস্ট্রাক্টেড হার্নিয়া, ইঙ্কারসিরেটেড হার্নিয়া, স্ট্রাংগুলেটেড হার্নিয়া এবং যেকোনো ঝুঙ্কিপূর্ণ হার্নিয়ার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে পথ দুর্ঘটনা জখম ব্যাক্তির প্রস্থেসিস্ম ম্যাক্সিলফেসিয়াল সার্জারি, মুখের ক্যান্সারের অস্ত্রপচারের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথীর (swasthya sathi) সুবিধা মিলবে বেসরকারিতে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই কার্ডের ব্যবহারে দুর্নীতি ধরা পড়েছে। এই ধরণের অপারেশনের ক্ষেত্রে অন্যান্য অসুধ পত্র, বেদ ভাড়া ইত্যাদি আনুষঙ্গিক খরচ দেখিয়ে মোটা অঙ্কের বিল পাঠানো হয় সরকারের কাছে। তাই এই সব সুবিধা সকল সরকারি হাসপাতালে থাকার কারণে এগুলিকে স্বাস্থ্যসাথীর স্কিম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি।
বেশ কিছুদিনে আগের কথা। এই অতিরিক্ত অপ্রাসঙ্গিক বিল পাঠানো বিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তর বেশ কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। কিছু বেসরকারি নার্সিং হোম ও হাসপাতালকে বেশ মোটা অঙ্কের জরিমানাও করা হয়েছে। হিসেবে দেখা যে, এই হার্নিয়া আর হাইড্রোসিলের অপারেশনের জন্য রাজ্যের খরচ হয়ে যায় প্রায় ৮০ কোটি টাকা।
রাজ্যের তথা দেশ বিদেশের সব খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আর আপনার মুল্যবান কমেন্ট করতে ভুলবেন না। ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ।
Written by Sanjukta Biswas.