TET Exam – টেটে চাকরি পেয়েছে ভিনদেশীরা! বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানুন বিস্তারিত।

রাজপথে আন্দোলনকারীদের (TET Exam) জন্যই যেন খোঁজ মিলছে অবৈধ নিয়োগের।

টেট দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে সারা রাজ্যে। এমতবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে টেট নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি (TET Exam) মামলায় ধীরে ধীরে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। এই মামলায় অনেক নেতা মন্ত্রী হয়েছেন অপসারিত। রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা এই মামলায় গ্রেফতারও হয়েছেন। প্রতিটি দিনটি নতুন নতুন তথ্যের সন্ধান পাচ্ছেন CBI.

তথ্য অনুযায়ী পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে (TET Exam) মিলেছে প্রচুর অর্থ ও সোনা। মিলেছে প্রচুর স্থাবর সম্পত্তির নথি। যেগুলির সব সদুত্তর পাচ্ছে না ED. সম্পত্তির পরিমান এতোটাই বেশি যে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন অফিসারেরা।

পশ্চিমবঙ্গে নাকি চাকরি পেয়েছেন ভিনদেশিরাও। বাংলাদেশের (TET Exam) লোকজনও এক্ষেত্রে চাকরি পেয়ে থাকতে পারেন। এমন অভিযোগও আসতে শুরু করেছে তাদের সামনে। এই বিষয়ে তেমকন কোনো প্রমাণ এখনো না মিললেও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তারা।

এই টেট সংক্রান্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে প্রচুর। অনেকে (TET Exam) জমা দিয়েছেন সাদা খাতা। আর তারা রীতিমতো চাকরিতে বহাল আছেন এখনো। আবার মেধাতালিকায় সবার নিচের দিকে থাকা প্রার্থীরা উঠে এসেছে সবার ওপরে। আজও কলকাতার পথে তারা ধর্ণা করে যাচ্ছেন সঠিক নিয়োগের অপেক্ষায়।

তবে এই সবের বাইরেও কি ঘটেছে আরও কোনো কেলেঙ্কারি? CBI সূত্রে খবর, এই নিয়োগ দুর্নীতিতে বাংলাদেশ যোগ বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তারা। ইতিমধ্যেই সীমান্তবর্তী এলাকার বিভিন্ন মুক্ত বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়েছেন তারা।

রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় সেন্টার (TET Exam) রয়েছে বেশ কয়েকটি। সেখান থেকে পাওয়া বেশ কিছু নাথিপত্রে আলাদা করেই নজর রাখছেন অফিসারেরা। অভিযোগ এসেছে এমনটাই।

ঐ সব জায়গা থেকে কোনো নিয়ম না মেনেই শুধুমাত্র (TET Exam) অর্থের বিনিময়েই সার্টিফিকেট পেতেন তারা। সেই নাথির ভিত্তিতে কেউ উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন কিনা, সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখবেন তারা। তদন্ত জারি আছে এখনো। খোঁজ চলছে অবৈধ প্রার্থীদের।

প্রসন্ন রায় নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে CBI. তার নাম উঠে এসেছে এই নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে। ইনি পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর বেশ কাছের লোক বলেই অনুমান অফিসারদের। ইনিই মিডল ম্যান হিসেবে দায়িত্ব সামলাতেন বলে অভিযোগ।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অনেক সংগঠনের সাথে যোগ রয়েছে প্রসন্নের। এছাড়াও, ঐ সকল রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ের সাথেও তার বেশ ভালো যোগাযোগ পরিলক্ষিত হয়েছে। এছাড়াও পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে বাংলাদেশের বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। পাওয়া গিয়েছে একটি কোম্পানির জিনিস পত্র।

এই প্রসন্ন এর নাম রয়েছে বাংলাদেশের একটি সংস্থার মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবে। এখন অবশ্য তাকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঐ সংস্থার নাম হল- World Hindu Struggle Committee”. এখন তিনি আছেন CBI হেফাজতে। ঐ সংগঠনের আর এক ব্যক্তিত্ব হলেন সিফন বসু।

এভাবে, সব তথ্যগুলির মধ্যে CBI কোনো রকম সংযোগ পায় কিনা তা  খতিয়ে দেখে কি সিদ্ধান্তে আসেন অফিসারেরা সেটাই এখন দেখার। এমন সব প্রয়োজনীয় খবরের সন্ধান পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।
Written by Debolina Barai.

Leave a Comment