কন্যাশ্রীর মতো এবার ছেলেদেরও টাকা দেবে মমতা, কবে থেকে শুরু হচ্ছে?

পশ্চিমবঙ্গ সরকার বর্তমানে মেয়ে ও মহিলাদের জন্য অনেক নতুন নতুন প্রকল্প চালু করলেও ছেলেদের জন্য ছিলনা তেমন কোন প্রকল্প। ছেলেদের জন্য নতুন কিছু প্রকল্প চালুর বিষয়ে অনেক দিন থেকেই জল্পনা চলছিল। অবশেষে চালু হল এই নতুন প্রকল্প। খুব শীঘ্রই এই প্রকল্পের নথিভুক্তিকরণ শুরু হবে স্কুলে স্কুলে।

কন্যা সন্তান পিতার সৌভাগ্যের কারণ- এমনটাই সমাজে প্রচলিত কথা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর চিন্তাধারায় রাজ্যে চালু আছে কন্যাদের জন্য কন্যাশ্রীর মতো একাধিক প্রকল্প। এইগুলি বাল্যবিবাহ রোধ করেছে এবং তার সাথে সাথে কন্যাসন্তানদের উচ্চশিক্ষায় বিশেষ কার্যকর হয়েছে।

পুত্র হোক বা কন্যা সন্তান, সমাজের উন্নতিতে উভয়েরই গুরুত্ব সমান। পাওয়া মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? কন্যাশ্রী চালুর পরই তাই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর এবারে ছেলেদের দিকে।

কন্যাশ্রীর আদলে ‘বন্ধু মহল’ প্রকল্প

এবার রাজ্যের  কিশোরী অর্থাৎ কন্যাদের কন্যাশ্রীর পাশাপাশি কিশোর কিংবা যুবক ভাইদের ক্ষেত্রেও বিরাট প্রকল্পের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খুব শীঘ্রই এটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে (Govt Scheme) কার্যকর হতে চলেছে। এতে উপকৃত হবে রাজ্যের প্রত্যেক ছেলে সন্তান।

তবে এ বিষয়ে যে কথাটি না বললেই নয় সেটি হল রাজ্য তথা দেশের মাটিতে এমন অনেক প্রকল্পই রয়েছে যেখানে সরাসরি টাকার অংক না থাকলেও চালু হওয়া প্রকল্পের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন না সমাজের সাধারণ জনগণ।

ইতিমধ্যেই কন্যাশ্রী প্রকল্পের মতোই রাজ্যের কিশোর এবং বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেদের ক্ষেত্রে একটি আকর্ষণীয় প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত কন্যাশ্রী এর মতো এই প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বন্ধু মহল’ প্রকল্প।

আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই রাজ্যের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাননীয় শিক্ষক মণ্ডলীর প্রচেষ্টায় এই ধরণের প্রকল্প চালু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে স্কুলে পাঠরত ছেলেদের বিশেষ করে যে সমস্ত কিশোররা আপাতত বয়ঃসন্ধি কালে রয়েছে মূলত তাদের ক্ষেত্রেই এই বন্ধু মহল প্রকল্প বিশেষ কার্যকরী বলে জানিয়েছে একাধিক স্কুল।

বন্ধু মহল প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল, রাজ্যের মেয়েদের পাশাপাশি বয়ঃসন্ধি বয়সে জীবনে ছেলেরাও একাধিক মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। এই সময়ে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে দ্রুত।

শরীরেও হয় নানান রকম হরমোনগত পরিবর্তন। ফলে তারা নানান সমস্যার সম্মুখীন হয়। যেমন মোবাইলের কু অভ্যাস, অল্প বয়সে প্রেমে পড়া, বাড়ির অভিভাবকদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়া, অল্প বয়সে নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়া ইত্যাদি বিষয় গুলি পরিলক্ষিত হয়।

এ ক্ষেত্রে বন্ধুমহল নামক এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা বন্ধুরা ওই সব মানসিক সমস্যায় পড়া কিশোরদের সমস্যাগুলি ভালো ভাবে খুঁটিয়ে তা সমাধানের পথ খুঁজে বার করবে। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া বয়ঃসন্ধিকালের ওই কিশোরদের যেমন বিপথের বদলে সুপথে  নিয়ে আসা হবে সহজ।

পাশাপাশি ওই কিশোরের মনকে নিয়ন্ত্রণ করায় তা হবে শান্ত এবং সুন্দর। তবে গোটা রাজ্যের স্কুল ভিত্তিক এই প্রকল্প চালু হলেও এর জন্য অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি আপাতত কিছু জানা যায়নি।

প্রকল্পটি আপাতত প্রযবেক্ষণের মধ্য দিয়ে আছে। এরপর হয়তো এর কার্জকারীতার ওপরে ভিত্তি করে অর্থ বরাদ্দ হতে পারে। এমনটাই সূত্র অনুযায়ী খবর। এমন গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলির আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।
Written by Debolina Barai.

Leave a Comment